Alp Arslan 50 Bangla
Alparslan Buyuk selcuklu episode 50 Bangla subtitles
আল্প আরসালান পর্ব ৪৯ পর্বের শুরুতেই দর্শকদের চোখে পানি চলে আসে। টেকফুরের সৈন্যরা সেফেরিয়া হাতুন ও তার সহযোগীদের হত্যা করার চেষ্টা করে। এই সময় টেকফুর নিজে সেফেরিয়া হাতুনের পেটে আঘাত করে এবং তাকে মারাত্মক জখম করে। এই প্রতিশোধ নিতে আল্প আরসালান টেকফুরের হাত কেটে ফেলে। তারপর টেকফুর কে হত্যা করে।।
টেকফুরের সকল সৈন্যদের আল্প আরসালান বের আল্পরা হত্যা করে। সেফেরিয়া হাতুন মারাত্মক জখম থাকায় তাকে তাড়াতাড়ি সুলতানের প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়।।যদিও আল্প আরসালান বে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিল। তারপর ও সেফেরিয়া হাতুন এর জখম খুব গুরুতর হওয়ায় তাকে সবচেয়ে ভালো হেকিমের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়
সেলচান মা সেফেরিয়া হাতুন কে সুলতানের প্রাসাদে হেকিমের কাছে নিয়ে যায়।
Alparslan Buyuk selcuklu episode 50 Bangla subtitles
হেকিম তার রক্ত পড়া বন্ধ করে। তারপর তাকে বিভিন্ন ভাবে সেবা প্রদান করে এবং সে সুস্থ হয়ে উঠতে থাকে।
সুলেমান বে যখন জানতে পারে যে সেফেরিয়া হাতুন প্রাসাদে আসছে। তখন উজির আমিরুল মূলক সুলেমান বে কে পরামর্শ দেন যে সেফেরিয়া হাতুনকে যেন প্রাসাদ থেকে বের হতে না দেয়া হয়৷ কারন এই সেফেরিয়া হাতুন কে যদি জিম্মি করা হয় তাহলে আল্প আরসালান বেকে প্রাসাদে আনা সহজ হবে৷
Alparslan Buyuk selcuklu episode 50 Bangla subtitles
সেলচান মা সেফেরিয়া হাতুন কে নিয়ে যখন চলে আসতে যায় প্রাসাদ থেকে তখন ঝামেলা হয়। সুলেমান বে তাদের প্রাসাদ থেকে বের হতে নিষেধ করে। কিন্তু সেলচান মা সেফেরিয়া হাতুন কে নিয়ে বের হতে চাইতেছিল। সেলচান মা তখন সুলেমান বেকে উদ্দেশ্যে করে কিছু কথা বলে৷ কথা গুলো সুলেমান বের ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তাই সুলেমান বে বাধ্য হয়ে তাদেরকে প্রাসাদ থেকে বের হতে দেয়।
মেলিক সুলেমান বে কাউন্ট লিওন কে একটি শহর দিয়ে দিতে রাজি হয়। কিন্তু উজির সেটা কোন ভাবেই হতে দিতে চায় না। সে চায় না সেলজুক রাষ্ট্রের এককনা মাটিও কাউকে দিয়ে দিতে। তাই সে এই খবর গোপনে সেলচান মা কে জানিয়ে দেয়। যাতে সে আল্প আরসালান বের কাছে খবরটি পৌছায় দেয়। আল্প আরসালান বে যখন জানতে পারে যে সুলেমান বে শহর দিয়ে দিচ্ছে লিওন কে তখন সে এই খবরটি কুতালমিশ বে কে জানায়।
কুতালমিশ বে কে জানানো হলে কুতালামিশ বে এই বিষয়টা মেনে নিতে পারেনা। তাই সে আল্প আরসালান বের সাথে একজোট হয়ে শহর রক্ষার শপথ নেন। আরবাসকান বেকে দিয়ে লিওন যে ফাঁদ পাতে সেই ফাঁদে ই সে পড়ে। কারন আরবাসকান বে সৈন্য নিয়ে দূ্র্গ থেকে বের হয়ে পড়ে। কিন্তু ততক্ষণে দূর্গের ভিতরে আল্প আরসালান বের সৈন্যরা সবাই ঢুকে যায়। যখন লিওন আক্রমণ করে দূ্র্গে,তখন দূ্র্গের ভিতরে থেকে আল্প আরসালান বে বের হয়ে আসে। এটা দেখে হতবাক হয়ে যায় লিওন।
সে বুঝতে পারে এটা একটা ফাঁদ। এরপর সে আরো আশ্চার্য হয় যখন দেখতে পারে কুতালমিশ বে ও আল্প আরসালান এর সাথে মিলে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। তখন সে পিছনে সরে যায়। কিন্তু পিছনে ফিরে গিয়ে সবার আগে সে আরবাজকান বে কে হত্যার জন্য পেটে ছুরি আঘাত করে৷ আরবাজকান বে গুরুতর জখম হয়।। আরবাজকান বেকে দ্রুত হেকিমের কাছে নিয়ে যায়। আর লিওন টেকফুরের দুর্গে ফিরে আসে। টেকফুর মারা যাওয়ার পরে থেকে লিওন এই দূ্র্গের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত হয়েছে। লিওন এই বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিশোধ নিতে শপথ করে। আর তার নতুন পরিকল্পনা শুরু করে।
কুতালমিশ বে রে শহর দখলে নিতে প্রাসাদে হামলা করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু এই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় উজির আমিরুল মূলক। তার চতুর বুদ্ধির কাছে কুতালমিশ বে পরাজিত হয়। সম্পূর্ণ প্রাসাদের চারদিকে গোলাবারুদ পূর্ণ ড্রাম রাখা হয়৷ যাতে করে সবাইকে একবারে ধ্বংস করে দেয়া যায় । কুতালমিশ বের আল্পরা বিষটা পরিক্ষা করে তাকে জানানোর পরে কুতালমিশ বে আক্রমণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে৷
আল্প আরসালান বের সৈন্যরা টেকফুরের সকল সৈন্যদের হত্যার পরে গেনজা শহরে তাদের শাসনাধীন করে। তারা তখন গেনজা শহরে অবস্থান করে৷ এদিকে সেফেরিয়া হাতুন সহ সেলচান মা ভাসপোরাকানে ফিরে আসে। সেফেরিয়া হাতুন কে হেকিমের তত্ত্বাবধানে রাখা হয় ৷ এদিকে ফ্লোরাকে সুলেমানের কাছে আসতে না দিয়ে লিওন আবারো চাপ তৈরি করতে থাকে৷। যদিও ফ্লোরা লুকিয়ে চলে আসে সুলেমান বের কাছে ৷
ফ্লোরা সুলেমান বেকে বারবার বুঝাতে থাকে এই প্রাসাদ ছেড়ে চলে যেতে। ফ্লোরা ভয় পায় আল্প আরসালান বেকে। তাই সে সুলেমান বেকে বুঝায় এই রাজনীতি থেকে বের হয়ে দুরে কোথাও চলে যেতে। সুলেমান বে তার কথার কোন উত্তর দেন না। ফ্লোরা সুলেমান বেকে উদ্দেশ্যে করে বলে যে “এই সিংহাসন একদিন আমাদের মরন ডেকে আনবে তাই এটা ত্যাগ করে চলে যাওয়াই উত্তম” এই কথাটা মেলিক সুলেমান বে বুঝতে চেষ্টা করে না। তাই সে ফ্লোরাকে মায়ার বাধনে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেয়।
মেলিক সুলেমান বে তখন ফ্লোরা কে বলে তার চাচা সুলতান তুগরুলের আদেশ মতো সে শাসন করছে। তাই ভীত হওয়ার কিছু নাই৷ আল্প আরসালান যাতে প্রাসাদে আসতে না পারে সেই ব্যবস্থা সে করবে।
এদিকে আল্প আরসালান সেফেরিয়া হাতুন এর কাছে যায়। ভাসপোরাকানে ফিরে আসে সবাই। আল্প আরসালান বে যখন সেফেরিয়া দেখতে পায় তখন ই সে বুঝতে পারে তাদের গর্ভের সন্তান হয়তো আর নাই। তারপর ও সে সেফেরিয়া হাতুনকে জিজ্ঞেস করে। সেফেরিয়া হাতুন আল্প আরসালান কে জানায় যে তাদের সন্তান আর নাই। পেটে আঘাতের কারনে তার সন্তানকে আর বাচানো যায় নাই। তাই এটা নিয়ে দুঃখ না করতে অনুরোধ করে। জবাবে আল্প আরসালান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে।
সকল কিছুর জন্য আল্লাহর উপর ভরসা রাখে। কুতালমিশ বের সাথে আল্প আরসালান বের সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে আল্প আরসালান বে সহ তার সৈন্যরা ফাদে আটকা পড়ে৷। এটা ছিল চোরাবালির ফাঁদ।। এটা তৈরি করেছে কুতালমিশ বে যাতে করে আল্প আরসালান বের সৈন্যরা পৌছাতে না পারে৷ এই খবর শুনে লিওন প্রতিশোধ নিতে চলে আসে এবং তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। আর এই দৃশ্যের মধ্যে দিয়ে এই পর্বের সমাপ্তি হয়।